শরীয়তপুরে সেলিম মাতব্বর নামে এক পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার আক্তার হোসেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা দেবাশীষ সাহার কক্ষে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন। তারা চিকিৎসা কর্মকর্তার কাছে হোসেন খন্দকার নামে এক রোগীর আঘাতের চিকিৎসাজনিত সনদপত্র দাবি করেন। রোগী ছাড়া সনদপত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন চিকিৎসা কর্মকর্তা। তখন আক্তার ওই চিকিৎসা কর্মকর্তাকে গালাগাল দিয়ে অপদস্ত করতে থাকেন। সেখানে তখন চিকিৎসা নিতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের নায়েক সেলিম মাতব্বর। চিকিৎসককে কেন এভাবে অপদস্ত করা হচ্ছে তা জানতে চান। তখন আক্তার উত্তেজিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করতে থাকেন। তার থাপ্পড়ে পুলিশ সদস্যের ডান কানের পর্দা ফেটে যায়।
বিডি প্রতিদিন/ ২৫ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১০