কিশোরগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু হানিফ হাছুকে (৩৮) আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বিকালে হোসেনপুর উপজেলার চর পুমদি এলাকায় নরসুন্দা নদী দখলমুক্ত করার সময় হাছু বাধা দিলে তাকে আটক করা হয়। পরে তার চেম্বার থেকে একটি এয়ারগান, দা, কুচসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। হাছু কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকার নূর হোসেনের ছেলে। আজ সন্ধ্যায় হাছুকে জেলা কালেক্টরেটে এনে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে নিয়মিত মামলা করা হবে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল জানান, নরসুন্দা নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার নদী দখল করে রেখেছিল হাছু ও তার বাহিনী। তার ভয়ে স্থানীয় কৃষক সেচ কাজের জন্য নদীর পানি পর্যন্ত তুলতে পারত না। এমনটি কাউকে গোসলও করতে দিতো না। এমন খবরের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে নদীতে হাছু বাহিনীর দেওয়া নয়টি বাঁধ অপসারণ করে নদীটি মুক্ত করে দেন। কিন্তু একদিন পর আবারো বাঁধ দিয়ে নদী দখল করে নেয় হাছু। এ খবরের ভিত্তিতে আজ বিকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) তরফদার আক্তার জামীলের নেতৃত্বে আবারও অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। হোসেনপুর উপজেলার চর পুমদি এলাকায় অভিযান চলাকালে হাছু ও তার লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাঁধা দিলে হাছুকে আটক করা হয়। পরে পাশেই তার চেম্বার থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যার পর জেলা কালেক্টরেটে এনে হাছুকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অভিযোগ করেছেন, সাজা দেওয়ার সময় হাছু তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে। হাছুর কাছে আরও অস্ত্র থাকতে পারে বলে তার ধারণা। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার