গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় প্রকাশ্য এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বিএনপি নেতার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বরামা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় বিএনপি নেতা কাজল মিয়াকে (৩৮) প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। আহত কাজল মিয়া বরমী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
কাজলের ভাগিনা আরিফ হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চা পানের জন্য পাশের আবদুল আউয়াল ক্বারীর চায়ের দোকানে যান কাজল। দুপুর প্রায় পৌনে ১২টার দিকে ১০/১১ জনের একদল যুবক চা পানরত কাজলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
কাজলের স্ত্রী বিলকিস আক্তার দাবি করেন, আশপাশের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যুবকেরা পালিয়ে যান। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তার স্বামীকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কাজলের ভাগনে আরিফ হোসেন আরও জানান, এলোপাতাড়ি কোপে তার মামার বাঁ হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ ডান পায়ের রগ কেটে গেছে। আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বরামা পূর্ব পাড়া গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে তোতা মিয়া, মৃত সাবেদ আলীর ছেলে আবদুল মান্নান, আশ্রফ আলী আকন্দের ছেলে ফেরদৌস ও নূরু মিয়ার ছেলে জসীমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ওই হামলা চালায়।
প্রতিবেশীরা জানান, গত বুধবার কাজল মিয়া তার বাড়ির সামনে ফেরদৌসকে বেদম মারধর করেছিলেন। ওই ঘটনার জেরে হামলার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ প্রধান বলেন, এটা রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো ঘটনা নয়। কাজল বিএনপি নেতা। তবে তাঁর কর্মকান্ডে গ্রামের মানুষজন অতিষ্ঠ ছিল।
শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল