চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পিটিআই মাষ্টারপাড়া এলাকায় ল্যাব ওয়ান নামের একটি মেডিকেলে ভুল অপারেশনে মর্জিনা বেগম (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্বজনদের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুল ইসলাম ডলার।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার মর্জিনা বেগম নামে এক প্রসূতির সিজার করার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও অতি মুনাফার লোভে সিজার করে ল্যাব ওয়ান মেডিকেল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ। ওই ক্লিনিকে মর্জিনার মৃত্যু হলেও তার স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে উন্নত চিকিৎসার অজুহাতে রাতে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । তবে অনেক আগেই রোগী মারা গেছেন বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই রোগীর স্বজনদের জানান ।
পরে রাত ৩টার দিকে মর্জিানার মরদেহ নিয়ে ল্যাব ওয়ান মেডিকেল সার্ভিসে এসে উত্তেজিত স্বজনরা কর্তৃপক্ষের অবেহলায় ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই লাশ দাফনের পর বিষয়টি সমাধান হবে জানালে ওই শর্তে স্বজনরা লাশ নিয়ে দাফন করে। এর পরদিন বিকেলে ল্যাব ওয়ান মেডিকেল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য বসলেও শেষ পর্যন্ত সমাধান হয়নি।
এদিকে একটি অডিও কথোপকথনে ফুটে ওঠে ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনার চিত্র। হৃদয় বিদারক এই ঘটনার নাটকীয়তায় জড়িত ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুল ইসলাম ডলার ও ডাঃ ফরহাদ আলী (সুইট)। এ বিষয়ে জানতে ল্যাব ওয়ান মেডিকেল সার্ভিসেস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুল ইসলাম ডলারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার সময় ওই রোগীর সিজার করা হয় এবং রাত ১০টার দিকে তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে রাজশাহী পাঠানো হয়। কিন্তু অপারেশনের জন্য ওই রোগী মারা যাননি এবং এতে তাদের কোন গাফেলতি নাই বলে তিনি দাবী করেন।
এদিকে প্রসূতি মর্জিনার স্বামী সাগর আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, ল্যাব ওয়ান একটি কষাইখানা। তাদের চিকিৎসা অবহেলায় মারা গেছে তার স্ত্রী। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য তাকে ও স্বজনদের অব্যহত ভাবে চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন। এ বিষয়ে তিনি অচিরেই আইনি সহযোগীতা নেবেন বলেও জানান।
বিডি প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল