রায় ঘোষণার ১১ বছর পর মাগুরায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম আয়ুব হোসেন (৫০)। তার বাড়ি শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায়।
মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার জোকা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০৬ সালে ২৮ নভেম্বর মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক কাদের নেওয়াজ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষণের অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ায় আয়ুব হোসেনকে যাবজ্জীবন সাজা ভোগের দণ্ডাদেশ দেন। শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় ২০০৫ সালে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে আয়ুব হোসেন পলাতক ছিল।
মামলার বাদী নির্যাতিতার মা (সুফিয়া বেগম) অভিযোগ করেন, ২০০৫ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে তার প্রতিবন্ধী মেয়ে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় এক প্রতিবেশির বাড়িতে গরুর খাবার আনতে গেলে আয়ুব হোসেন তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে ও ৫ মাস পর ঘটনা জানাজানি হয়। এ সময় মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা জেনে একটি বে-সরকারি সংস্থার আইনী সহায়তায় আদালতে মামলা দেন। এই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আয়ুব হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া কন্যা শিশুর পিতৃ স্বীকৃতিসহ ভরণ পোষণ নির্বাহের আদেশ দেন। এ রায়ের দীর্ঘ ১১ বছর পর পলাতক আয়ুব হোসেনকে গতরাতে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে আয়ুব হোসেন আটক হওয়ায় নির্যাতিতার মা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে শিশুর ভরণ পোষনের জন্যে আয়ুব হোসেনের প্রতি আদালতের যে আদেশ আছে তা এখনো পর্যন্ত কার্যকর হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত, রায় ঘোষণার সময় বিজ্ঞ বিচারক প্রয়োজনে আয়ুব হোসেনের সম্পদ বিক্রি করে ধর্ষিতার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুটির ভরণ পোষণের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর (স্মারক নম্বর-২৪৯৩) আদেশ দেন। আদেশটি এখনো কার্যকর হয়নি। শিশুটি এক নি:সন্তান দম্পতির ঘরে বড় হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল