রাত একটা, চারিদিকে হইচই ডাকাত পড়েছে। হাজার হাজার গ্রামবাসী দা-কুড়াল সাবল, লাঠি-সোঁটা নিয়ে ডাকাত পাকড়াও করতে দিক বেদিক ছোটাছুটি করছেন। মসজিদের মাইকে ডাকাত ধরতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। খবর পেয়ে ডাকাত ধরতে কালকিনি থানা পুলিশ ও ডাসার থানা পুলিশ সদস্যরাও অবস্থান নেন।
কিন্তু হায়, কোথায় ডাকাত? রাতের প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে ঘুম নষ্ট করে শুধুই মরিচিকার পেছনে ছোটা। ক্লান্ত, স্থির হওয়ার পর উদ্ঘাটন হয় মূল রহস্য। আর তা হল উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের ফকির বাড়িতে আয়োজিত বিয়ের অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরেরা পটকা ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। আর সেই শব্দেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
কালকিনি উপজেলার মাইজপাড়া, পশ্চিম মাইজপাড়া, পাথুড়িয়ার পাড়, ধ্বজী, পূয়ালী, ভূরঘাটা, উত্তর রাজদী, পুয়ালি মাদারীপুর, গোপালপুর, দক্ষিণ রাজদী, কাষ্টগড়, ঠেংগামারা, ঘোষেরহাট, ভাউতলি, ডাসারসহ অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, আসলে বিষয়টি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। মাইজপাড়া গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে এটা ঘটেছে। তবে এতে একটি ব্যাপার উপলব্ধি হয়েছে, তা হলো মানুষের মধ্যে সচেতনতা আছে এবং ডাকাত আসলেও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় তা পাকড়াও করা সম্ভব।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বক্তব্য, কালকিনিতে বর্তমান সময়ের রাজনীতিকে উস্কে দিতেই এমনটা করেছে একটি মহল।
বিডি প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজান