চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহিপুরে গত ২৭ মে কনিকা রানী ঘোষ (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মালেক নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেছেন আদালত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিয়াউর রহমান আসামির উপস্থিতিতে বুধবার এ রায় প্রদান করেন।
এসময় আদালত অপর তিন স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে ৩২৪ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড, ৩২৬ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ মে শুক্রবার সকালে ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে কনিকা রানীসহ চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এলাকায় আব্দুল মালেক তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনিকা রানী ঘোষকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় আরও ৩ ছাত্রী একই গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে তারিন আফরোজ (১৫), অরুনবাড়ি মহিপুর গ্রামের মোঃ তাজেমুল হকের মেয়ে তানজিমা আক্তার (১৪) ও বেহুলা গ্রামের মোকবুল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার আহত হয়। এরা মহিপুর এস এম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। এঘটনায় ওই দিনই স্থানীয়রা আব্দুল মালেককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এঘটনায় নিহত কনিকা রানীর মা অঞ্জলি রানী বাদী হয়ে ওই দিন রাত ১০টার দিকে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সদর থানার এস আই মাহমুদুর রশিদ ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ২১ জন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পরে নিহত কনিকার মা অঞ্জলি রানী অপর তিন ছাত্রী তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিয়ম আক্তার এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা দ্রুত এ রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল