ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে হামলা মামলার আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি ওরফে সুবাশ ওরফে টাইগার আদিল ওরফে মাষ্টার মাইন্ড ওরফে জাহিদকে দুটি পৃথক মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে বগুড়ার পুলিশ। আজ সোমবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. কামারুজ্জামান শিবগঞ্জের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৭ দিনের এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আব্দুল আল মামুন শেরপুর থানার মামলায় ৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আদেশের পর পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ'র (জেএমবি) সদস্য জাহাঙ্গীরকে বগুড়া কারাগারে নেয়। সে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর ভুতমারীরাঘাট গ্রামের ওসমান গনি মন্ডলের ছেলে। বগুড়ার শিবগঞ্জ ও শেরপুর থানা পুলিশ আসামিকে ২টি মামলায় ১০দিন করে ২০দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত মোট ১৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১টায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলার ভাইয়ের পুকুর নামক স্থানে কয়েকজন জেএমবি সদস্য গোপন বৈঠকে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় দুজনকে আটক করা হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। আটককৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিতে উক্ত জাহাঙ্গীরের নাম বলে। এরপর তাকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ এলাকার একটি বাড়ীতে বোমা তৈরীকালে বিস্ফোরণে জেএমবির দুই সদস্য নিহত ও বিপুল সংখ্যক গোলা বারুদ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তকালে ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীর সম্পৃক্ততা পায় থানা পুলিশ। এ দুটি মামলায় জিঙ্গাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এর আগে পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরে থানায় দায়ের করা মামলায় এসআই জাহাঙ্গীরের আবেদনে ৮দিন ও শিবগঞ্জের মামলায় এসআই রাজুর আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন বিচারক। শুনানী শেষে তাকে পুলিশ বগুড়া কারাগারে নেয়।
বগুড়ার শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ এরফান জানান, পৃথক দুটি মামলায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধিকে ১৫ দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছে।