লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে একটি গ্রামে পাঁচ দিনের ব্যবধানে অজানা রোগে ৩৩টি গরু-ছাগল মারা গেছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে উপজেলার দক্ষিণ দলগ্রামের পশুরাম পাড়ার কৃষকরা। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এড়াতে অনেকেই তাদের গবাদিপশু বিক্রি করার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শনিবার থেকেই হঠাৎ করেই গবাদিপশুর অকাল মৃত্যু শুরু হয়। এতে আক্রান্ত গরু-ছাগলের প্রথমে পিছনের পায়ে কাঁপুনি শুরু হয়। এরপর পেট ফুলে গিয়ে মাটিতে পড়ে গোটা শরীর কাঁপতে থাকে। আনুমানিক দেড় ঘণ্টা পর আক্রান্ত গরুর মৃত্যু হয়। আর ছাগল ওই অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১০-১১ মিনিট পরেই মারা যায় বলে জানা গেছে।
অজানা এ রোগে গত ৫দিনে ওই গ্রামের ১২ জন কৃষকের ৩৩টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। কৃষকরা তাদের মৃত গবাদিপশু মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রেখেছেন। ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ২০১৫ সালে ঠিক এই সময়ে (মাঘ-ফাল্গুন মাস) একইভাবে গরু ছাগল মারা যাওয়া শুরু হয়। এতে ২০১৫ সালে ৭টি গরু, ৫টি ছাগল, ২০১৬ সালে ৬টি গরু, ৯টি ছাগল মারা যায়।
লালমনিরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএসএম নাসিরুদ্দিন খাঁন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে এটিকে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) বলে মনে হচ্ছে। এর পরেও আক্রান্ত গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে কী কারণে এমনটি হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় কিছু গরু ছাগল মারা গেছে। বিষয়টি সমাধানে আমরা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ