কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ফেনী থেকে তিন আসামি গ্রেফতার হওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলেছে। ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিও দিয়েছে আসামিরা।
পাকুন্দিয়া উপজেলার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মতিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে আসামি নজরুল ইসলাম এবং গজারিয়া গ্রাম থেকে নজরুলের বাবা সোহরাবউদ্দিন ও মা মদিনা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। গত ১৩ জানুয়ারি রহিমা ও শিশুটিকে নিয়ে অটোরিকসা যোগে প্রথমে পাকুন্দিয়ার মঠখোলা যায়। পরে তাদেরকে নিয়ে নরসিংদী যায়। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে পাকুন্দিয়ার মিরারটেক বিলে এনে নানাভাবে আঘাত করে এবং পানিতে চুবিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী রহিমার লাশ গত ২১ জানুয়ারি পাকুন্দিয়ার মিরারটেক বিল থেকে এবং ৩১ জানুয়ারি একই স্থান থেকে তার শিশুপুত্র আমিরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে রহিমার কথিত স্বামী একই গ্রামের নজরুল এবং তার বাবা, মা পলাতক ছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবেশি নজরুলের সাথে রহিমার বিয়ে না হলেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এর ফলে রহিমার গর্ভে শিশু আমিরুলের জন্ম হয়। প্রথমে নজরুল তাকে মেনে না নিলেও এলাকাবাসীর চাপে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল