লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে দু'টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আটটি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যানকেন্দ্রে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। এসব কেন্দ্রে কোন চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ পাঁচ-ছয় বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর চিকিৎসকের পদগুলো শূণ্য পড়ে আছে। এ কারনে উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগীদের চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
জানা গেছে, উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজার ও সাইচা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন করে চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে পদ দুটি শূণ্য। ডাক্তার আসলেও কয়েকদিন থেকে তারা আবার বদলি হয়ে চলে যান। তাছাড়া চরপাতা, কেরোয়া, সোনাপুর, চরমোহনা, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, উত্তর চর আবাবিল এবং রায়পুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যান কেন্দ্রে একজন করে চিকিৎসকের পদ থাকলেও সেগুলো বর্তমানে শূণ্য রয়েছে। এ পদগুলো অধিকাংশ পাঁচ-ছয় বছর ধরে খালি পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের কেওড়াডগী গ্রামের ইউসুফ সওদাগর বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) তিনি পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে হায়দরগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। তিনি দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন। পরে গ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। কিন্তু ওই চিকিৎসায় তার পেট ব্যথা কমেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা শাহরিয়ার শায়লা জাহান শিমু বলেন, দুটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আটটি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যানকেন্দ্রে চিকিৎসকের পদ শূণ্য রয়েছে। প্রতি মাসেই বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু আজও ওই সব শূণ্য পদ পূরণ হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ