বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রোটকলভুক্ত পানগুছি নদীতে সিমেন্ট নিয়ে ডুবে যাওয়া ষ্টিলবডির জলযানটিকে (ভলগেট) দুপুর ১টা পর্যন্ত ৯ ঘন্টায়ও শনাক্ত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে পানগুছি নদীতে ভাটার টানে রশি ছিড়ে ডুবে যাওয়া ভলগেটের মাঝি শহিদুল ইসলামকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। নদীর প্রবল স্রোতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ডুবে যাওয়া ভলগেটটি শনাক্ত না হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রোটকলভুক্ত এই চ্যানেলটি দিয়ে সব ধরনের নৌ চলাচল।
ভলগেটের শ্রমিকরা জানান, ‘মা ফাতেমা’ নামের ডুবে যাওয়া ভলগেটটি বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাটের মংলা থেকে এক হাজার ৩০০ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে শরণখোলা উপজেলা সদরে যাচ্ছিল। শুক্রবার রাত রাত ১টায় ভলগেটটি মোরেলগঞ্জে পৌঁছে মাসুম এন্ড ব্রাদার্স এর ৭৫বস্তা সিমেন্ট আনলোড করে নদীর ঘাটে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মাঝিসহ শ্রমিকরা ঘুমিয়ে পড়েন। নদীর মাঝে নোঙ্গর করে না থাকায় রাত ৪টার দিকে ভাটার প্রবল টানে ঘাটে বাঁধা রশি ছিড়ে এটি ডুবে যায়। এ সময়ে ভলগেটটির মাঝিসহ তিন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। ভলগেটের মাঝি শহিদুল ইসলাম শেখকে (৪৫) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, ভোর থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শুরু হলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুপুর ১টা পর্যন্ত ভলগেটটির অবস্থান নির্নয় করতে পারেননি। পানগুছি নদীর প্রবল স্রোতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ