আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়, তখনই বিজয়ের ফসল ঘরে তোলে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। এ দলের প্রধান শক্তি তৃণমূল। তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে একাদশ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে হ্যাট্রিক করবো। সংগঠনকে গতিশীল করতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে চান্দিনা মহিলা কলেজে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে-আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। এখনো ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলকে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকা। কে কত বড় নেতা-সে পরিচয় না দেখিয়ে নিজেদেরকে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে মানুষের কল্যাণের জন্য, দলকে শক্তিশালী সব পর্যায়ের মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসনের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, দল টানা ক্ষমতায় থাকলে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে হতেই পারে। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নেতাদের কাছে টানা চলবে না। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করতে হবে। নেতায়-নেতা, এমপির সঙ্গে নেতা ও কর্মীর দূরত্ব মেনে নেয়া হবে না। এখনো দুই বছরের মতো সময় আছে- দূরত্ব নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ হোন। না হলে কর্মীবিমুখ ব্যক্তিদের আগামীতে দলীয় প্রধান মনোনয়ন দেবেন না।
শামীম আরও বলেন, স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে কি হয়-তা ইতোমধ্যে দেশবাসী দেখেছে। দেশ পিছন দিকে যায়। উন্নয়নের পরিবর্ততে সব কিছুতে ঘাটতি হয়। জাতির পিতার সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। বিশ্বনেতারা এখন শেখ হাসিনাকে উন্নয়নের আইডল মনে করেন। এই উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এজন্য তৃণমূলকে অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার আলী আশরাফ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রমুখ। বর্ধিত সভায় বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা নেতারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
বিডি প্রতিদিন/১ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা