একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস পালন বাদ দিয়ে জামায়াত নেতাকে নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়া পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. সাইদুজ্জামানকে ওএসডি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়।
একইসঙ্গে এই ঘটনায় আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ফারুক হোসেনকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালন না করে পাবনার পাকশীতে পিকনিকে যায় আটঘরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেখানে বনভোজনে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন, আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান। আমন্ত্রিত অতিথী হিসেবে তার সাথে ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়াবে আমীর (ভারপ্রাপ্ত আমীর) ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. জহুরুল ইসলাম খান।
দিনভর তারা পদ্মা নদীতে নৌ ভ্রমন, দুপুরে ভোজসহ বিভিন্ন প্রমোদ আড্ডায় মেতে সময় পার করেন। পরদিন প্রমোদ ভ্রমনের এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। যা দেখে ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় লোকজন ও সুধী সমাজ। পরে বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে “এক ইউএনও’র প্রমোদ ভ্রমণে পাবনায় সমালোচনার ঝড়” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাকসুদা বেগম সিদ্দিকা জানান, আটঘরিয়ার ইউএনও মো. সাইদুজ্জামানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
তবে বিস্তরিত কিছুই বলেননি তিনি।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলী হয়েছেন এতে আমরা খুশি হয়েছি। কেননা তিনি তার কৃতকর্মের ফল পেয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ