মেহেরপুর শহরের শিশু বাগানপাড়ায় জেমি খাতুন নামের (২৫) নামের এক অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেমি সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
আজ শুক্রবার মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত গৃহবধূর সাত বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তবে নিহত গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ স্বামীর পরকিয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় তাকে নির্যাতন করে হত্যা শেষে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
নিহত জেমি খাতুনের ভাই মো: রকি জানান, "নয় বছর আগে তার বোন জেমি খাতুনের সাথে শহরের শিশুবাগান পাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে রানার সাথে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের একটি সাত বছরে পুত্র সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি রানা অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমের জড়িয়ে পড়লে জেমি তার প্রতিবাদ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রানা বৃহস্পতিবার বিকালে জেমিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।"
তিনি আরও বলেন, "পরে রাতে এসে পুনরায় তাকে মারধর করে মারা গেছে ভেবে রান্না ঘরের চালার সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারনা চালায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে পাঠায়। আমার বোনের হত্যাকারীদের বিচার চাই।"
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, "খবর পেয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে বিকালে গৃহবধুর বাবার পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। মেয়েটি শারিরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রানা পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।"
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৭