বাগেরহাটের রামপালের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার কর্মচারীর বিরুদ্ধে শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শহীদ মিনার ভাঙার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন, ব্যবস্থাপনা কমিটি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে সোমবার বিকালে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা সদরের ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন এবং বিদ্যালয়ের দপ্তরি আল আমিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙার অভিযোগ ওঠে। এরপর এলাকাবাসী মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ গত ১২ এপ্রিল ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আল আমিনকে শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলতে দেখেন তারা। এসময় তারা সেখানে গিয়ে কেন শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে তা জানতে চান। আল আমিন বলেন প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলতে বলেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মানববন্ধন শেষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিচার চাই।
এ ঘটনায় সোমবার বিকালে বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা অলিউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের শেখ, অভিভাবক আজিজুল শেখ, শিক্ষার্থী অভিষেক অধিকারী, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেখ মোশারেফ হোসেন, শেখ ওলিয়ার রহমান প্রমুখ।
তবে ঝনঝনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শহীদ মিনারটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। কিছু অংশ ভেঙেও গিয়েছিল। শহীদ মিনারটি সংষ্কার করতে হবে। প্রতিপক্ষরা আমাকে এখান থেকে তাড়াতে ষড়যন্ত্র করছে।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয়রা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা ইয়াসমিন যদি শহীদ মিনার ভেঙে থাকেন তাহলে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ