বরিশালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড থেকে অবৈধভাবে ঋণ নিয়ে সাড়ে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় ঝালকাঠীর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম তালুকদারকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উচ্চাদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে মনিরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে বিচারক অমিত কুমার দে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মনিরুল ঝালকাঠী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং ঝালকাঠীর পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের ছেলে।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, ওই ব্যাংকের বরখাস্তকৃত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও নগরীর নবগ্রাম রোডের বাসিন্দা জাকির হোসেন রাড়ি, তার স্ত্রী শিক্ষিকা লুৎফুন্নাহার, নগরী শিকদার কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক যুবলীগ নেতা শাহিন সিকদার ও তার স্ত্রী নাইমা রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই শাহিন সিকদারের অনুকূলে ব্যাংকের একটি এফডিআর’র বিপরীতে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির রাড়ি আসামিদের যোগসাজসে ওই ঋণ বৃদ্ধি দেখিয়ে ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫শ’ টাকার ঋণ প্রদান করেন। ঋণ হিসাবের বৃদ্ধির জন্য ৩ জন ডিপোজিট গ্রাহকের বিনানুমতিতে তাদের এফডিআর জামানাত হিসেবে দেখানো হয়। এছাড়া মনিরুল ইসলামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স এর পক্ষে ৩টি ভুয়া পারফরমেন্স গ্যারান্টি (পিজি) এবং জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহারের সজীব এন্টারপ্রাইজের নামে ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেন।
এ ঘটনায় গত বছর ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা তদন্ত করেন দুদক বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান। এ মামলায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন সিকদার ও তার স্ত্রী নাইমা রহমানকে গ্রেফতার করে দুদক। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার