ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাতালটি ১শ’ শয্যা বিশিষ্টি। কিন্তু হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি ফিটনেসহীন হওয়াতে বেশির ভাগ সময় পড়ে থাকে। অপরটি সচল থাকলেও সপ্তাহ খানেক আগে অ্যাম্বুলেন্সটির একটি চাকা চুরি হয়ে যায়। ফলে অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও আাধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে প্রায় ১৫টি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এই সকল অ্যাম্বুলেন্সের কতিপয় কর্মচারী নিজের ব্যবসা ভালো রাখার জন্য সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি করেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটি কয়েক সপ্তাহ ধরে পড়ে থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না বলে সাধারণ রোগীরা অভিযোগ করেছেন।
আজ শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকার মানিক হোসেনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে রোগীকে নিয়ে যেত বিলম্ব হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রংপুরের উদ্যোগে তিনি রওনা দেন।
হাসপাতালে আসা শাহাদাত হোসেন জানান, হাসপাতালের গাফিলতির কারণে শুধু অ্যাম্বুলেন্স নয় আরও অনেক কিছুই ঘটছে। এতে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজে যেতে ৩ হাজার টাকার বেশি গুণতে হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেক বেশি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের এক ড্রাইভার জানান, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি কেউ তদারকি করছে না। দু’জন ড্রাইভার থাকলেও তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। সেই কারণে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম জানান, কে বা কারা অ্যাম্বুলেন্সের চাকাটি চুরি করে নিয়ে গেছে, তা জানা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোসনেদারা বেগম জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চাকাটি পাওয়া গেছে। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার