বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মতুয়া ধর্মালম্বীদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে হামলাকারিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। রবিবার বিকেল ৫টায় মন্দিরের সামনে শতাধিক মতুয়াভক্ত এই দাবি জানান।
এ সময় মন্দির কমিটির সভাপতি শুনিল কৃষ্ণ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সোনা মজুমদার, মিন্টু রানী হালদার ও পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র মন্ডল বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও স্থানীয় হিন্দু নেতা অমল চন্দ্র মন্ডল, সাবেক মেম্বার যুথিকা রানী হালদার, বকুলী রানী বড়াল, সুখ রঞ্জন মিস্ত্রী ও বিশ্বনাথ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল শেখের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দল পূর্ব শত্রুতার কারণে সেবাশ্রমে ঢুকে কমিটির সদস্য ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম শিল্পীর ওপর চড়াও হন। পর্যাক্রমে এই বাহিনীটি সেবাশ্রমের অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদেরকে মারপিট শুরু করে। এ সময় কয়েক হাজার মতুয়াভক্ত বিভিন্ন দিকে দৌঁড়ে আত্মরক্ষা করেন। এ ঘটনায় পণ্ড হয়ে গেছে গোটা অনুষ্ঠান। কয়েক হাজার লোকের খাবারও নষ্ট হয়।
হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন কর্তব্যরত পুলিশের এএসআই মনিরসহ কমপক্ষে ২০ জনকে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি। এদিকে যুবলীগ নেতা সোহেল শেখ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলার কথা শুনেছি। আমার কর্মীরা আহত পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করে চিকিৎসায় পাঠিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না’।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ মে, ২০১৭/মাহবুব