আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমাডেন্টের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা শরীয়তপুর জেলা আনসার ব্যারাক ঘেরাও এবং ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর কার্যালয়টি পালং বাজারে অবস্থিত। শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্র ও ব্যবসায়ীরা জানায়, কার্যালয়ের প্রবেশ পথে পণ্য পরিবহনের গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন সবুজের সাথে জেলা কমান্ডেন্ট সেলিমুজ্জামানের বাদানুবাদ হয়। সোমবার সকালে ওই ব্যবসায়ীকে কার্যালয়ে ডেকে নেন জেলা কমাডেন্ট। তখন ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা লাঠিসোটা নিয়ে আনসার ব্যারাক ঘেরাও করেন। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কটি অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা অবরোধ তুলে নেন।
পালং বাজারের ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন সবুজ বলেন, আনসার ব্যারাকে প্রবেশ পথে আমার একটি গুদাম রয়েছে। সেখানে একটি নছিমন গাড়ি পার্কিং নিয়ে আামাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। পরে কার্যালয়ের ভিতরে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। জেলা কমান্ডেন্ট নিজেই আমাকে মারধর করেছেন।
পালং বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বেপারী বলেন, জেলা কমান্ডেন্ট ব্যবসায়ীকে মারধর করেছেন এমন খবরে ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে পরে। ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। পরে সড়ক অবরোধ ও আনসার ব্যারাক ঘেরাও করেন। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর কার্যালয়ে গিয়ে জেলা কমান্ডেন্টকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেলা ১২টা হতে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ১০বার তার মুঠোফোনে ফোন করা হয়, তিনি ফোন ধরেননি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, পুলিশ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ বিষয়ে এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/৮ মে, ২০১৭/ফারজানা