দেশে চালের চাহিদা মেটাতে ও চালের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে খাদ্যমন্ত্রণালয়।
আর এ খবরে হিলি স্থলবন্দরে চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা। ফলে বন্দরের ভেতর আটকা পড়েছে শতাধিক চালবোঝাই ট্রাক। এতে ভারতীয় ট্রাক চালকরা কয়েকদিন ধরে হিলি স্থলবন্দরে থাকলেও চাল খালাস হচ্ছে না।
জানা যায়, গত ৪ মে বৃহস্পতিবার খাদ্য ভবনে চালকল মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলে জানান। এ খবর প্রকাশের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা চাল বোঝাই ট্রাক খালাস নেওয়া বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা।
এ ব্যাপারে হিলি আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন জানান, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা চলছে। আর এখবরেই আমদানিকারকরা চাল খালাস করছেন না। কারণ চাল খালাস করার পর সরকার যদি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয় তাহলে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চাল আমদানিতে যে শুল্ক আছে তাতে ভারত থেকে চাল আমদানি করলে কেজি প্রতি চাল ৪১/৪২ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু শুল্ক প্রত্যাহার করলে প্রতি কেজি চালের দাম ৪/৫ টাকা কমতে পারে। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের উপর দাম কমবেশী হতে পারে।
আগামী দুই একদিনের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলে আমদানিকারকরা চাল খালাস করবেন বলে জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক অসিত কুমার স্যান্নাল চাল খালাস না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চাল আমদানিতে শুল্ক আরোপের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি চালের চাহিদা বাড়ায় আবারও এ স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। শুনেছি, শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে এমন খবরেই স্থলবন্দরের ভেতরে আমদানীকারকরা খালাস না করায়, শতাধিক চাল বোঝায় ট্রাক আটকা পড়ে যায়। এতে জট সৃষ্টি হতে পারে। তবে বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন