পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলা বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ওই উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা। আজ সোমবার বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরূপকাঠী উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন স্বরূপকাঠী উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বরূপকাঠীর পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলাম কবির।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, কেউ নিজস্ব মালিকানাধীন গাছ বিক্রি করতে চাইলেও সেটি বন বিভাগের দাবি করে উৎকোচ আদায় করেন সাজ্জাত হোসেন। উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রগতি মন্ডলের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়েছেন সরকারি গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ তুলে। সম্প্রতি ওই বন কর্মকর্তা উপজেলার ইন্দুরহাট খাল থেকে অবৈধ কাঠসহ একটি নৌকা আটক করেন। ওই নৌকায় বৈধ গোলপাতা ছিল। সেই গোলপাতা কমদামে বন কর্মকর্তা বিক্রি করা শুরু করলে স্থানীয় সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধিরা বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এবং অপকর্ম ঢাকতে বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক অভিযোগ তুলছেন।
স্বরূপকাঠী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওয়াহেদুজ্জামান অভিযোগ করেন, বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ঔর্দ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অশালীন আচরণ করলে তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়।
সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ করিম সবুর অভিযোগ করেন, তার ইউনিয়নের একটি আকাশ মনি গাছ গোপনে বিক্রি করেন বন কর্মকর্তা সাজ্জাত। তিনি ওই গাছটি জব্দ করলে তাকে মামলার জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়।
আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার অভিযোগ করেন, সাজ্জাত হোসেন তার অপকর্ম ঢাকতে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল রশিদ, সারেংকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সায়েম, সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গাউস তালুকদার প্রমুখ।
এদিকে স্বরূপকাঠীর বন কর্মকর্তা স্বরূপকাঠীর পৌর মেয়র ও ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার