আদিতমারী থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অপহরণ মামলার বাদী আব্দুল মালেক। নবম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের মূল হোতা আব্দুল কুদ্দুস সম্রাটকে (২৩) গ্রেফতার করলেও বাকি একজন আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর মামলা দায়েরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চার্জশীর্ট আদালতে দাখিল না করায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন বাদীর পরিবার।
জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মাজেদা আক্তারকে (১৪) অপহরণ করেন একই এলাকার নয়াদুল ইসলামের বখাটে ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৯)। মাজেদা মহিষখোচা বহুমুখি স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান শাখার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। এ কাজে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন একই এলাকার জোবাইদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস সম্রাট (২৩)।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ২৯ মার্চ বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল কুদ্দুস সম্রাটকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর আদিতমারী থানা পুলিশ অপহরণের মূল হোতা আব্দুল কুদ্দুস সম্রাটকে গ্রেফতার করলেও অপর আসামি রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। অপর আসামি শফিকুল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে মামলার বাদী আঃ মালেক অভিযোগ করেন।
মাজেদা আক্তারের মা মহিষখোচা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক উম্মে কুলছুম জানান,পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস সম্রাট আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। মাজেদা বেগমের সহপাঠী ও এলাকাবাসী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,অপহরণ মামলার আসামিকে ধরার জন্য জোর চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, শীঘ্রই এ মামলার চার্জশীর্ট আদালতে দাখিল করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১০ মে ২০১৭/হিমেল