নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী লেংগুড়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে দেখা দিয়েছে গো-মড়ক। বুধবার পর্যন্ত রাজনগর, শিবপুর ও জয়নগর গ্রামের মোট ১৬ টি গরু মারা যায়। অজানা রোগে আক্রান্ত আরো প্রায় দেড় শতাধিক গরু। এ ঘটনায় গরু মৃত্যুর কারণ হিসেবে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ক্ষুরা রোগকে দায়ী করছেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, গত ২৩ এপ্রিল এডিপির ব্যবস্থাপনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন, নাজিরপুর এ অঞ্চলের ২১৫টি গরুর শরীরের ভ্যাকসিন ও কৃমি নাশক খাওয়ানোর পর গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাজনগর গ্রামের কৃষক মো. রেনু মিয়া বলেন, আমার চারটি গরুর মধ্যে একটি মারা গেছে। অন্য তিনটি গরু মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দিয়ে আনার পর আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে কারোর গরুর কোন সমস্যা ছিল না।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খুরশিদ দেলোয়ার জানান, ভারত থেকে চোরাই পথে আসা কিছু গরু সীমান্তবর্তী রাজনগর গ্রামের অনেকের বাড়িতে নিজ গরুর সাথে রাখা হয়। ভারতের প্রতিটি গরু এ রোগে আক্রান্ত। তাই হয়তো ১২ /১৩ টি গরু এভাবে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আর বর্ষাকালে গরুর ক্ষুরা রোগ হয়। ধারণা করা হচ্ছে চোরাই পথে আসা গরুগুলোর ক্ষুরা রোগ ছিল। অন্য গরুর সঙ্গে রাখায় সুস্থ গরুগুলোরও এ রোগ হয়েছে। ক্ষুরা রোগের জন্য ছোয়াছে রোগ দেখা দিয়েছ আমরা এসকল গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত গরুদের চিকিৎসা বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি।
এদিকে লেঙ্গুরা ইউনিয়নের রাজনগর, শিবপুর, জয়নগর ও দিঘিরপাড়া গ্রামের ১৬টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ