পার্বত্যাঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক খুন, গুম, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টায় জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষাণা দেন মহাসমাবেশ প্রস্তুত কমিটির নেতারা। তারা বলেন, রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এ মহাসমাবেশের কর্মসূচি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২ দশকের পরও পাহাড়ে শান্তি আসেনি। পাহাড়ের মানুষের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্যাতন দিন দিন বেড়ে চলেছে। এসব অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিসহ কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। চায়ের দোকান, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালককে চাঁদা দিয়ে চলতে হয়। চাঁদা না দিলে অপহরণ ও খুনের শিকার হতে হচ্ছে অনেকেই। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি মোটরসাইকেল চালক ছাদেকুল নামে এক যুবকেও অপহরণের পর হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
বক্তরা আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে এসব অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কাছে শুধু বাঙালিরা জিম্মি নয়, উপজাতি কৃষকরা জিম্মি। বাঙালিরা প্রতিবাদ করলেও অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে প্রাণের ভয়ে মুখ খুলেনা। তাই নির্যাতিত নিপীড়িত পাবর্ত্যবাসীর ব্যানারে পার্বত্যাঞ্চলে মানুষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশ করা হবে।
সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও মহাসমাবেশে প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক বেগম নূর জাহানের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি পারভেজ তালুকদার, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজি সাবিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কামাল, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বাঙালী নেতা কাজি জালোয় প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/ ১৩ মে ২০১৭/ আরাফাত