ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মথো ওরফে রঞ্জনসহ ৩ জনকে মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই তিনজন আবার এলাকাছাড়া। সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মথো ওরফে রঞ্জন সোমবার বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গ্রাম পুলিশ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে এনে রাস্তার মাটি কাটাকর্মী কুলসুম ও তার স্বামী জহরুলসহ মথো ওরফে রঞ্জনকে মারপিট করেছে বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
মোহাম্মদপুর ইউপির হরিনারায়নপুর বটতলী মহল্লার মথো ওরফে রঞ্জন লিখিত অভিযোগে জানান, কিছুদিন পূর্বে বংশীয় তারিনীর সাথে জমিজমা নিয়ে তার বিরোধ হয়। পরে আমাকে গ্রাম্য পুলিশ মইনুল ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেয়। ইউনিয়ন পরিষদে আসার পর আমাকে একটি রুমে ঢুকানো হয়। ওই রুমে প্রবেশের পরপরই দেখি রাস্তার মাটি কাটা কর্মী কুলসুম বেগম ও তার স্বামীকে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করছে চেয়ারম্যান। মারপিটের এক পর্যায়ে লাঠি ভেঙ্গে গেলে আরও একটি লাঠি আনতে বলা হয় চৌকিদারকে। পরে স্বামী স্ত্রীকে মারপিট শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে রুম থেকে বের করে দেয়া হয়।
তৎক্ষণাৎ শুরু হয় আমাকে মারপিট। লাঠি দিয়ে চেয়ারম্যান আমাকে বেধড়ক পেটান। পেটানো শেষ হলে বাহিরে পুলিশের পিকআপ দেখিয়ে বলে, পুলিশে তুলে দিব না ভাল হয়ে যাবি। আমি চুপচাপ বাড়ি চলে যাই। বাড়িতে গিয়ে শারীরিক সমস্যা বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতালে ৩/৪ দিন ছিলাম। পরে সুস্থ হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জেলার রাজনৈতিক নেতাদের কাছে বিচার চেয়েও আজ অবধি বিচার পাইনি। শুধু মারপিট করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, আমাদের নালিশি জমির ৩ কোনে লাল পতাকা তুলে দেয়। মারপিটের ব্যাপারে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে ভেবে এতদিন চুপ ছিলাম।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল জানান, চেয়ারম্যান মোহাম্মদপুর ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মথো ওরফে রঞ্জনকে মারপিট করেছে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত অনুযায়ী কতৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছি।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুন, ২০১৭/মাহবুব