“বিদেশী বীজ নয়, দেশীয় বীজকে সুরক্ষা প্রদান' এই স্লোগান নিয়ে এবং আবাদের ক্ষেত্রে কৃষকদের বিদেশী উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত না করে, বেশী করে দেশি ফসল উৎপাদনের লক্ষে উন্নতমানের দেশি বীজতলা ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে দিঘন সিআইজি সমবায় সমিতি লিঃ দিনাজপুর।
সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এমটিসিপি-২ বাংলাদেশের সহযোগীতায় ও দিঘন সিআইজি(ফসল) সমবায় সমিতি লিঃ আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, জমিতে দেশী ফসল উৎপাদনের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে যা আমাদের কৃষির জন্যে শুভ লক্ষন নয়।
মমিনুল ইসলাম জানান, বিদেশী সার, বীজ ও কীটনাশকের অবাধ ব্যবহারে জমির উর্বর শক্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তেমনি নষ্ট হয়েছে ফসলের স্বাদ ও গন্ধ। মাঠের সার ও কীটনাশক ধুয়ে নদীতে পড়ে নষ্ট করছে মাছের আবাদ। তাই দেশীয় বীজ সংরক্ষণের জন্যে কৃষকদের মারিয়া মডেল পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার তাহলে কৃষকেরা নিজেরাই বীজ সংরক্ষণ করতে পারবে। তিনি প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে দেশীয় বীজ ব্যাংক স্থাপনের জন্যে আহবান জানান।
কৃষক ও কৃষি বিভাগের স্বদিচ্ছার অভাবে বর্তমানে দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাটারীভোগ, বাদশাভোগ, নানীয়াশাইলসহ উন্নতজাতের সুগন্ধি ধান ও ধান বীজতলা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ সিং, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল তিগ্যা, ডিআরডিএফ কো-অর্ডিনেটর জোতিষ চন্দ্র অধিকারী প্রমুখ।