একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনের ঘোষণা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল সন্ধ্যায় মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানানো হয়।
সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বৈঠকে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ পর্যালোচনা করে বলা হয়, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনের ঘোষণা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি এবং গণদাবি মানা হয়নি। এ ছাড়া দেশের বর্তমান সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের প্রত্যাশা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উ™ূ¢ত প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে দেশ ও জাতির কল্যাণ, ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠা এবং আগামীর বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করা হয়।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে মগবাজারের জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণায় জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও আবদুল হালিম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মুসা প্রমুখ।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের যে অভিপ্রায় ছিল-জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে কী কী বিষয়ে সংস্কার হলো। কিন্তু একই দিনে গণভোট হলে জনগণ এ বিষয় সম্পর্কে জানল না। এখন একটা সংকট তৈরি হবে। গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে কেয়ারটেকার হোক আর যত নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথাই আমরা বলি, প্রত্যেকটি নির্বাচনে কমবেশি কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা হয়ে থাকে। এতে দু-পাঁচটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল বা স্থগিত হয়ে গেল-এমন ঘটনায় জাতীয় নির্বাচন প্রতীকের ভোট বন্ধ হলো। তাহলে সেদিন গণভোটের দশাটা কী হবে?
এর কোনো জবাব নাই। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামি এবং দেশপ্রেমিক দল দাবি করে আসছি, গণভোটটা জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। তাহলে এটার আইনি ভিত্তিটা দৃঢ় হবে। এটা নিয়ে পরে আদালত এবং আইনি ভিত্তি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। সেই সংকট কিন্তু রয়েই যাবে।’