বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। তিনি বলেন, জুলাই যুদ্ধের শহীদদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তারা আমাদের একটি সুযোগ করে দিয়েছেন- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তুলতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণেই আজ আমরা দুর্দশায় পড়েছি। গতকাল রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লু-এ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ড. মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্ব হবে; যে যেখানে আছি, সেখান থেকেই নিজের দায়িত্ব পালন করা। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যত দ্রুত আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব, ততই আমাদের মঙ্গল হবে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু মতপার্থক্য থাকবেই। সবাই একমত হবেন না। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। কিন্তু এর মধ্যেও দ্বিমত থাকতে পারে। প্রধান কাজ হচ্ছে, ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট নির্বাচন করা। সেই পার্লামেন্টে জনগণের সব অমীমাংসিত ইস্যু আলোচনা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) সাধারণ মানুষ বোঝে না। এটিকে আগে বোধগম্য করার চেষ্টা করতে হবে, মানুষকে বুঝাতে হবে।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শারলে। গতকাল দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।