ভয়াবহ দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল সপ্তাহের শেষ কর্মদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। কেবল এক দিনের ব্যবধানেই বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকার বেশি। আর মূল্যসূচক কমেছে ১২২ পয়েন্ট। সপ্তাহের পাঁচ দিনের লেনদেনে চার দিনই কমে সূচক। এক দিন ১২ পয়েন্ট বাড়লেও চার দিনে কমেছে ২৭৬ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ঢালাও দরপতন হয়েছে। দাম বাড়ার তুলনায় কমার তালিকায় ৬ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট থাকায় মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ঘোষিত লকডাউনের প্রভাব পড়ে গতকালের শেয়ারবাজারে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ৩৫২ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বেড়েছে ১৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২২ পয়েন্ট কমে ৪৭০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দরপতনের ফলে ডিএসইর বাজার মূলধন ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি ১১ লাখ টাকা কমে গেছে। আগের দিন ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এখন তা কমে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৩ কোটি ৩৪ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৯০ কোটি ১৩ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের শেয়ার। ৪৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে ৪০ টাকা ৬০ পয়সায় কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। ১১ কোটি ৫৬ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির এবং ৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।