নিম্নচাপের প্রভাবে গত দু’দিন ধরে ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাটবাজারে মানুষের উপস্থিতি ও স্বাভাবিক চলাচল কমে গেছে। বৃষ্টির পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় সমস্ত মাছ ধরা ট্রলার সাগর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে, বৃষ্টির পানিতে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার খাদ্য গুদাম ও পুরনো পোস্ট অফিস এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে মৌসূমী শাকসবজি ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষীরা।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, নিচু এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর ড্রেন নির্মান করা প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত থাকায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় মৎস্য জীবী সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, গত ৩-৪ দিন আগে শরণখোলা থেকে দুই শতাধিক ফিশিং ট্রলার সাগরে ছেড়ে গেছে। হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সমস্ত ট্রলার কূলে ফিরে এসেছে। বর্তমানে ট্রলারগুলো সুন্দরবেনর কচিখালী, মেহের আলীর চর, সুপতিহ বিভিন্ন খালে আশ্রয়ে রয়েছে। তবে, এখনো কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মীর সিরাজৃল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ফসলের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টিপাত এভাবে কয়েকদিন চলতে থাকলে শাকসব্জি ও ফসলে ক্ষতি হবে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সাগর উত্তার হওয়ায় সকল মাছ ধরা ট্রলার উঠেে এসেছে। কয়েকশ’ ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/১২ জুন,২০১৭/ ই জাহান