কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণে বান্দরবানের কালাঘাটায় তিনটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে তিন শিশুসহ ৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সোমবার রাত ৩টার দিকে প্রবল বর্ষণের সময় কালাঘাটার কবরস্থানের পাশে, জেলেপাড়া ও লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে টানা বর্ষণে জেলা শহরের অধিাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
সকালে কালাঘাটের কবরস্থানের পাশে পাহাড় ধসে রেবা ত্রিপুরা (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা বীর বাহাদুর ত্রিপুরা, প্রসেন ত্রিপুরা ও সূর্য চাকমা নামের তিনজন আহত হয়। তারা সবাই বান্দরবান কলেজের ছাত্র বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। জেলেপাড়ায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়েন মা-মেয়ে। তারা হলেন, কামুরননাহার ও সুফিয়া। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী। এছাড়া লেমুঝিরি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে এক পরিবারের তিনটি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তারা হলো শুভ বড়ুয়া (৮), মিঠু বড়ুয়া (৬), লতা বড়ুয়া (৫)
স্থানীয়রা জানায়, রাত ৩টার সময় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। এতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ঘরের ওপর ধসে পড়ে। কালাপাড়া এলাকায় দমকল বাহিনী ও স্থানীয়রা এসে একজনকে মৃত ও তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। দমকল বাহিনীর উদ্ধার কর্মীরা জানান, জেলেপাড়ায় মা-মেয়েকে মাটি সরিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে।
কুহালং ইউনিয়নের পূর্ব ধোপাছড়ি এলাকার সম্বুনিয়া পাড়ায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মংকাউ খেয়াং (৫৫) মেম্রাউ খেয়াং (১৩) ও ক্যসা খিয়াং (৭)। এসময় চাইহ্লাউ (৩৫) ও সানু খেয়াং (১৮) নামে দুজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার উসামং খেয়াং জানান, সকালে পাহাড় ধসে বাড়ির ওপর পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাদের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বান্দরবান সিভিল সার্জন বলেন, জেলার দুর্গম এলাকায় অনেক জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকউল্লাহ বলেন, জেলেপাড়ায় উদ্ধার অভিযান চলছে। যেসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।