দীর্ঘদিনেও মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নে চারটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি’র প্রকৌশলীর বিচার ও দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনগণ। এছাড়া তিন দিনে আগে বিকল্প রাস্তা না করায় ভাঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন স্থানীয় আলী নেওয়াজ ফকির। এর বিচারের দাবি আজ সদর উপজেলার পাঁচখোলার চরকালিকাপুর গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় বাসিন্দরা।
এলজিইজি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে এলজিইডি’র অর্থায়নে টুকু মোল্লা নামের এক ব্যক্তির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের ‘আঙ্গুলকাটা-পাচঁখোলা-আড়িয়াল খাঁ ঘাট সড়কের ৪টি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে। দীর্ঘদিনেও চারটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে স্থানীয় জনগণ। এছাড়া ব্রিজের বিকল্প ব্যবস্থা না করায় একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হয় চলাচলকারী লোকজন। এ সত্ত্বেও এলজিইজির উপজেলা প্রকৌশলীসহ কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গত তিনদিন আগে স্থানীয় আলী নেওয়াজ ফকির নামে একজন মোটরসাইকেল চালক বিকল্প সড়ক না থাকায় যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে দুই চোখে গুরুতর আহত হয়। তাকে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে সত্ত্বাধিকারী টুকু মোল্লা ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ব্যাপারে পাচঁখোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্তার হাওলাদার জানান, আমি বার বার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাসকে নিন্মমানের কাজের কথা বলেছি। এতে কোন কাজ হয়নি। এই ব্রিজগুলো নির্মাণের জন্যে বিকল্প রাস্তার তৈরির জন্যে টাকা বরাদ্দ থাকলেও কর্মকর্তা আর ঠিকাদারের যোগসাজসে সব আত্মসাত করেছে। আমি এই দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করি। সেই সাথে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি করি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জেলা অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এ বিষয় কথা বলতে বলেন। আর ঠিকাদার টুকু মোল্লা দাবি করেছেন, সঠিক নিয়মে কাজ হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার