মিয়ানমারে আটক পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপজেলার নয় জেলে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর বাড়ি ফিরেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে দিকে জেলে আলী হোসেন গাজী, কবির হাওলাদার, সোবাহান ঘরামী, আলমগীর মাতুব্বর, নজরুল গাজী, হাচান হাওলাদার, রুবেল, জাহিদুল ও শামীমকে মৎস্য বন্দর আলীপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফিরে আসা জেলেদের বাড়ি উপজেলার লতাচাপলী ও মহিপুর ইউনিযনে। এ সময় তাদের এক নজর দেখতে শত শত জেলেসহ স্থনীয় মানুষ ভিড় জমায়। পরিবারের একমাত্র উপার্যজনক্ষম ব্যক্তিকে ফিরে পেয়ে ওইসব জেলেদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ফিরে আসা জেলে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি এফবি ফয়সাল নামের একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কুয়াকাটার ১০ জেলে নিখোঁজ হয়। ট্রলারটির ইঞ্জিণ বিকল হয়ে সাগর থেকে ভেসে থাকার একমাস পর পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের কোস্টগার্ডের হাতে তারা আটক হয়। এদের মধ্যে অনাহারে ও খাবার পানির অভাবে কাওছার মুসুল্লী (১৮) নামে এক জেলে মৃত্যু হয়। আটকের সময় মিয়ানমার পুলিশ মৃত্যু ওই জেলের লাশ উদ্ধার করে সেখানেই দাফন করেছে বলে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন।
লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, মিয়ানমারে আটক হওয়া জেলেদের পক্ষে আইনী প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের হেড অব বাংলাদেশ কনস্যুলেট (অকিয়াব) শাহ আলম খোকনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এদেরকে সাধারণ ক্ষমা করে মিয়ানমার সরকার। এরপর ওইসব পরিবারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের জন্য বিমান ভাড়া বাবদ ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা করে জমা দিতে হয়। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরষিদের চেয়ারম্যানের কাছে আটক নয় জেলে ফিরে আসার এ বিষয়টি শুনেছি। তবে আফিসিয়াল কোন কাগজ পাইনি বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার