শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জয়নগর মেল্যা কান্দি গ্রামে হীরামনি (৮) নামে এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ওই গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে। আজ বেলা ১২টার দিকে তাকে মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দাদন হাওলাদার ও তার সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, জয়নগর মোল্যা কান্দি গ্রামের দাদন হাওলাদার ও মানিক হাওলাদারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরধরে ২০১৫ সালে দাদন হাওলাদারের ভাই সোনামিয়া হাওলাদারকে হত্যা করা হয়। এ মামলার আসামি মানিক হাওলাদার গত ৪ জুন আদালত থেকে জামিনে আসেন। বাড়ি ফেরার পর তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। তখন তার স্ত্রী মেরিনা আক্তারকে মারধর করা হয়। মেরিনা আক্তার বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। আজ বেলা ১২টার দিকে মানিক হাওলাদারের বাড়িতে হামলা করে প্রতিপক্ষ দাদন হাওলাদারের সমর্থকরা। মানিক হাওলাদারকে না পেয়ে তার শিশু কন্যা জয়নগর মোল্যা কান্দি আইতুন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী হীরা মনিকে কুপিয়ে জমখম করা হয়। তার মাথায় তিনটি স্থানে কোপানো হয়। তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা খোকন বলেন, মেয়েটির মাথায় তিনটি স্থানে ধারালো কোপের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতগুলো অনেক গুরুতর। সংকটাপন্ন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির মা মেরিনা আক্তার বলেন, সোনামিয়া হাওলাদারকে কারা খুন করেছে আমরা জানি না। এর জের ধরে দাদন হাওলাদার আমাদের বাড়ি ঘর লুটপাট করেছে। আমার স্বামী জেল খেটেছে। তাকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। দাদন হাওলার লোকজন নিয়ে আমার স্বামীর উপর হামলা চালায়, জীবন বাঁচাতে সে দৌঁড়ে পালায়। তখন আমার শিশু মেয়েটিকে হত্যা করার জন্য কোপানো হয়। তাকে কুপিয়ে পানির মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
ঘটনার পর থেকে দাদন হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম থেকে পালিয়েছে। মুঠোফোনে তিনি বলেন, মানিক হাওলাদার তার মেয়েকে কুপিয়ে আমাদের মামলার আসামি করতে চায়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, জমিজমা নিয়ে মানিক হাওলাদার ও দাদন হাওলাদারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। গত বছর দাদনের ভাইকে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় মানিক ও তার স্বজনরা আসামি হয়। এর জের ধরে শিশুটির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এখনও থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার