নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থেকে জলদস্যু বাহিনীর ৫ সদস্যকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্প। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭টি একনলা বন্দুক, ২৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি রকেট প্লেয়ার, একটি অতিরিক্ত ব্যারেল উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুরের শিল্পকলা একাডেমীতে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব ১১ নারায়ণগঞ্জের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাছান ।
হাতিয়া উপজেলার নলের চর আদর্শ গ্রামে অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন হাতিয়ার আমির ও ফরহাদ, ভোলার বেলায়েত ও রিয়াজ এবং কুতুবদিয়ার বাসু।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইলিশের মৌসুমকে সামনে রেখে যে কয়েকটি জলদস্যু বাহিনী জেলেদের অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজি মেঘনার মোহনা ও বঙ্গোপসাগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার আসামি কালাম বাহিনীর কালাম চৌধুরী অন্যতম। বিগত এক মাসে বঙ্গোপসাগরে এই কালাম বাহিনী নিজ দলের দুই সদস্যকে খুন করে লাশ গুম, অনেক জেলেদের অপহরণসহ মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই ও মোবাইলের মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করেছে বলে জানা যায়। কালাম বাহিনীকে ধরতে র্যাবের প্রায় ১০০ জন সদস্য ৩টি স্তরে লক্ষ্মীপুর, টাংকির চর নোয়াখালীর হাতিয়ার নলেরচর এলাকায় প্রায় দুই মাস ধরে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার ভোর রাতে হাতিয়ার নলের চর আদর্শ গ্রামে কালাম ও তার বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান জানতে পেরে র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের দল ও স্পেশাল কোম্পানি ও সিপিসি-৩ এর যৌথ অভিযান চালায়। এসময় কালাম বাহিনীর ৫ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করতে পারলেও কালামসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় দুটি পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাহ, সিনিয়র এ এসপি মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জুন, ২০১৭/ফারজানা