বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপন বৈঠকের সময় অভিযান চালিয়ে জিহাদি বই ও অস্ত্রসহ ইউনুস আলী (৫৫) নামে জামায়াতের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইউনুস আলী ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের চরখুকশিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। শনিবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত কর্মী ইউনুস আলীর বাড়িতে সান-রাইচ কোচিং সেন্টারের নামে সেখানে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মকান্ড পরিচালিত করেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই কোচিং সেন্টারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী আন্দোলন, ধংবসাত্বক কার্যক্রম ও নাশকতা সৃষ্টি লক্ষে গোপন বৈঠক বসেন। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ রাত ২টার দিকে ওই কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ইউনুস আলীকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বৈঠক থেকে জামায়াত ও শিবিরের প্রায় ২০-২২জন নেতাকর্মী কৌশলে পালিয়ে গেছে। তবে পুলিশ ওই কোচিং সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে ছাত্র শিবিরের সংবিধান, মাসিক প্রেরণা, ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি, পলাশি থেকে বাংলাদেশ, মুক্তির জয়গান, ছাত্র সংসদ বই, সরকার বিরোধী বিভিন্ন পোষ্টারসহ ২১টি জিহাদি বই, একটি চাপাতি ও একটি চাকু জব্দ করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় ধুনট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর রেজাউল করিম বাচ্চু, উপজেলা জামায়াতের আমীর বাকি বিল্লাহসহ জামায়াত শিবিরের ১৪ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক বসে এলাকায় বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে জিহাদি বই ও ধারালো অস্ত্রসহ জামায়াতের এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নাশকতাসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে শাহীন আলম (২৮) নামে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাহীন উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য। শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বিশ্বহরিগাছা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধুনট থানার এএসআই কমল চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধ চলাকালে ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মারপিট, ভাংচুর ও নাশকতা কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন শাহীন। এ সব ঘটনায় শাহীনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন শহীন। ফলে আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১০