মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের সত্যবতী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় আজ দুপুরে মস্তফা মাতুব্বর বাদী হয়ে মোহর আলী ও মিন্টুসহ ৩৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের সত্যবতী গ্রামে ঈদের দিন মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর ওবায়দুর ও বাবুর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনাঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জহুর গ্রুপ ও মিন্টু গ্রুপের লোকজন শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে বসে। সালিশ বৈঠক চলাকালিন সময় মিন্টু গ্রুপের লোকজন অতর্কিতভাবে জহুরুল গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা চালালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে রুবেল, আনো, কুদ্দুস, নারগিস, মস্তফা, মোকলেছ ও আবদুল হকের ঘরসহ প্রায় ১০টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের নারীসহ ২৫ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত শাহিন শেখ (২২), রুবেল (৩০), জহুরআলী মাতুব্বর (৪৮), সোহেল (৩৫), পলাশ (৩০) মাবিয়া বেগম (২৪), রোকেয়া বেগম (৩৫) দেলোয়ার মাতুব্বর (৫৫), ও লাভলুসহ (৩৪) ১৫ জনকে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় রোকেয়া, শাহিন, মাবিয়া, ও রুবেলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজৈর থানার ওসি কামরল হাসান জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ দুপুরে মস্তফা মাতুব্বর বাদী হয়ে মোহর আলী ও মিন্টুসহ ৩৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
