সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে নোয়াখালী জেলা শহর। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এ অচলাবস্থা চলেছে। সামান্য বৃষ্টিতের পৌরসভার ভিতরের পথঘাট, পানির নিচে ডুবে যায় এতে শহরবাসীকে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।
নোয়াখালী পৌর এলাকা বেশিরভাগ রাস্তা চলাচলের এতটাই অনুপযোগী যে, বৃষ্টি ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে রাতের বেলা তো দুরে থাক, দিনেও চলতে নানা অসুবিধায় পড়তে হয় পৌরবাসীকে।
ভুক্তভোগী পৌরবাসী জানায়, এক দিনের ভারি বর্ষণেই নোয়াখালী জেলা শহরের প্রায় রাস্তায় পানি উঠে। আর টানা ২-৩ দিনের বৃষ্টিতে কার্যত পানিবন্দি হয়ে পড়ে শহরবাসী। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত, মাইজদি হাউজিং এ্যাসটেট, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ফকির পুরসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে করে সৃষ্টি হয় নানা রকম জনভোগান্তি।
এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নোংরা দুগন্ধময় পানি দিয়ে চলাচলের কারণে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয় তারা। এ ভাবে পথঘাট ডুবে থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষের।
নোয়াখালী পৌরসভার বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে বলে জানালেন পৌর মেয়র জনাব শহীদ উল্ল্যাহ খাঁন সোহেল। তবে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গুলো পাশ হলে খুব দ্রুত কাজ করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ খাল দখল করে যারা পানি বন্ধ করে রাখছে তাদের কে ছাড় দেওয়া হবে না। জলাবন্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত ভাবে কাজ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন