গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও পানিবন্দী মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। কাজিপুরের বৃহত্তম ঢেকুরিয়া হাটে পানি ওঠায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্স নেমেছে। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলেও রবিবার সন্ধ্যা থেকে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে বিপদসীমার ৩০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। টিউবওয়েব তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
কাজিপুরের ঢেকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া ও মালসাপাড়া গ্রামের খাতুন জানান, বসতবাড়ী পানির মধ্যে তলিয়ে গেছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় পানি খেতে কষ্ট হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. মুনজুর আলম জানান, প্রতিটি উপজেলায় স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা জানান, ইতোমধ্যে প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাউল ও নগদ টাকা এবং শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বিপরীতে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা অচিরেই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন