ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড আজ সকাল থেকে তিস্তা ধরলার ৬৩ চরে বাসিন্দাদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
হঠাৎ পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজ এলাকা, হাতীবান্ধার তিস্তা নদী বেষ্টিত কয়েকটি ইউনিয়ন, কালিগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা ইউপি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচাঁ, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, মোগলহাট, কুলাঘাট, রাজপুর এলাকার তিস্তা ও ধরলা বেষ্টিত চরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, বিকেল ৪টায় তা বেড়ে গিয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ডালিয়া ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। আর ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ বাড়তে থাকলে লালমনিরহাটের শতাধিক গ্রামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছে প্রশাসন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সোমবার সকাল থেকে তিস্তা ধরলার ৬৩ চরের অধিবাসীদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ধরলার প্রবল পানির স্রোতে কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি এলাকায় অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩’শ মিটার বাধ ধসে গেছে।
কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, দেড় মাস আগে পাউবো কর্তৃপক্ষ জিও ব্যাগ এনে রাখলেও তারা ভাঙন কবলিত এলাকায় সেগুলো অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখায় কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে ৩’শ মিটার এ বাধটি ধসে গেল। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, বাধ ধসে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- বাঁধটি রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার