পটুয়াখালীর জেলার কলাপাড়ায় জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এটি চিকুনগুনিয়া জ্বর নাকি ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া,টাইফয়েড ভাইরাস তা এখনো সঠিক ভাবে নির্ণয় করতে পারছেন না স্থানীয় চিকিৎসকরা।
এ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ। গত ১০ দিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক রোগী কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আবার অনেকে বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
অন্যদিকে কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এখন চিকুনগুনিয়া রোগের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আবহওয়া জনিত কারণে এ জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে প্রচন্ড জ্বরে শরীরে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের সুমি আক্তার (১৮)। গত তিন দিন ধরে তার থেমে থেমে প্রচন্ড জ্বর। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। সুমি ছাড়াও একই আবস্থা সুলতানা (৫৩),খাজিদা (২১), ফেরদৌস (১৪),সাইফুল (১০),কলি বেগম (১২), আসিয়া (২২), মৌসুমি(৭), শিউলী (১০), স্বর্না (৫), তাসিমের (১৬)। ওইসব রোগীদের তাৎক্ষণিক প্যারাসিটামল, সেলাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ দেয়া হচ্ছে।
কলাপাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ৬০ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
নার্সিং আন্তবিভাগের ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা জানান, ৫০ বেডের এ হাসপাতালের আধিকাংশ রোগীই এখন জ্বরে আক্রান্ত। বেড না থাকায় অনেক রোগী ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কলাপাড়া হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগের সিনিয়র প্যাথলজিস্ট মো.হাফিজুর রহমান জানান, চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত আসেনি।
কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জে এইচ খান লেলিন জানান, এখন আধিকাংশ রোগী আসছে জ্বরের। আমরাও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/১০ জুলাই ২০১৭/ ই-জাহান