বাগেরহাটের শরণখোলায় বিচারক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের সীল স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ ও নাশকতা মামলায় মাওলানা আবুল বাশার আকন (৩৬) নামের এক জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে তাকে উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রাামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলার প্রতিশোধ নিতে স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় আটটি ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছে ওই প্রতারক।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের মাওলানা আ. ছাত্তার আকনের ছেলে আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে শরণখোলা থানায় একটি নাশকতা মামলা হলে এলাকা ছেড়ে নারায়নগঞ্জে গিয়ে আত্মগোপন করেন। বর্তমানে সেখানে তিনি একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পর ২০১৫ সালে স্ত্রী মারুফা আক্তার (২৪) তার বিরুদ্ধে বাগেরহাট আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রতিশোধ নিতে জজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের সীল স্বাক্ষর জাল করে স্ত্রী মারুফা আক্তার, শ্বশুর ওবায়দুল হক (৪৫) এবং শ্যালক মহিব্বুল্লাহসহ (২৬) চার জনের বিরুদ্ধে নারী পাচার, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দেখিয়ে ৮টি ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠান। ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুন্নু মিয়া নামের জজকোর্টের এক মহুরীর মাধ্যমে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের সীল স্বাক্ষর জাল করে তিনি এই প্রতারণা করেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, প্রতারক মাওলানা আবুল বাশার সম্প্রতি গোপনে বাড়িতে আসেন। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারক বাশার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জিজ্ঞাসাবাদে বাশার বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের সীল-স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। প্রথমে তাকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার