আশুলিয়ায় জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতারকৃত চার জঙ্গিকে সাভার মডেল থানায় এ বছরের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখের একটি মামলায় (মামলা নং ৫২) গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে র্যাব। আজ দুপুরে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) উনু মং।
তিনি আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই বছরের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে মানিকগঞ্জের ঝিটকা এলাকা থেকে ছেড়ে ভিলেজ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বিদেশী পিস্তলসহ তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আটকৃত চার জঙ্গিকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, আটককৃত চার জঙ্গির বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চার জনের নাম উল্লেখ্য করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে (মামলা নং ৪১) ও অস্ত্র এইং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের (মামলা নং ৪২) দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। নবীনগর ক্যাম্পের ডিএডি শরিফুল ইসলাম খান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় সোমাবর দুপুরে মামলা দুটি দায়ের করেন।
এ ছাড়াও মামলায় দুটি বিদেশী পিস্তল, ৬টি গুলির খোসা, ৪টি চাপাতি, ১টি ল্যাপটপ, ২টি বিস্ফোরিত বোমা ও তিনটি অবিস্ফোরিত বোমার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার সাংকি ভাদাগ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক মাসুদ(১৮), চট্রগ্রাম জেলার রাউজান থানার কদলপুর মেয়াজি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ইফরানুল ইসলাম ওরফে সুফিয়ান খান, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উদাখালি গ্রামরে রেজাউল করিমের ছেলে রাশেদুল নবী রাশেদ( ২২) ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার হোগলি কৃষনগর গ্রামের আব্দুল হান্নান আলীর ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২১)।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় চার জন আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদের আটক করে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার