কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছায় বিবাহিত নেতাদের পদ ছাড়ার নির্দেশনা সত্ত্বেও ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিবাহিত সাত নেতা এখন পদত্যাগ করেননি। পদ ধরে রাখতে নিজেদের বিয়ের কথাও গোপন রাখছেন তারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বিয়ের বিষয়টি জানলেও অনুসারী বা সমর্থক হারানোর ভয়ে তারাও প্রকাশ করছেন না এসব তথ্য। তবে বিবাহিতদের কমিটি থেকে পদত্যাগে কেন্দ্রের নির্দেশনা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ভালুকায় বিবাহিত নেতাদের মাঝে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মাহি, সহ-সভাপতি রাজিব হোসেন ঝুটন, পাঠাগার সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম মিতুল, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক রাইছুল ইসলাম রুবেল, সহ-সম্পাদক সেলিম শেখ, সদস্য শেখ মামুন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, ভালুকায় কমপক্ষে ১৫জন পদধারী নেতা বিয়ে করেছে বাড়িতে বউ আছে কিন্তু তারা বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছে।
বিবাহিতদের পদত্যাগ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে কারা বিবাহিত, এবং তাদের পদত্যাগে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।
ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার হক সজীব জানান, আমার জানামতে আমার ইউনিটে কোন বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতা নেই।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান