কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী কাস্টমস্থ শাহপরীর দ্বীপ হাইওয়ে পুলিশের হাতে ইয়াবার বড় চালান আটকের ঘটনা নিয়ে পুলিশ মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। আটক আসামি মিন্টু আলীর স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসছে টেকনাফের ইয়াবা পাচার সম্পৃক্ত রাঘববোয়ালদের নামসহ আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, গাড়িতে ইয়াবার চালান ভর্তি থেকে শুরু করে হাইওয়ে পুলিশের উদ্ধার কাজ পর্যন্ত যে সমস্ত লোকজনের সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কথোপোকথন হয়েছে সমস্ত তথ্য উদ্ঘাটন করা হচ্ছে। আটক অপর আসামি গাড়ির হেলপার দেলোয়ার হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে।
গত রবিবার আসামি মিন্টু আলী কক্সবাজারে ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজ উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কায় কিসলু জানান, ইতোমধ্যে বেলাল, তোফাইল, হেফাজ উদ্দিন, আবদুর রহমান, হাসান, ইছমাইল, নুর আহামদ সহ বেশ কিছু নাম পাওয়া গেছে। এদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত আসামিদের তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গত শনিবার ভোর রাতে টেকনাফ থেকে আসা একটি খালি ট্রাকের পাটাতনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে বালুখালী কাস্টমস্থ শাহপরীরদ্বীপ হাইওয়ে পুলিশ ২ লাখ ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এসআই ননী বড়ুয়া বাদী হয়ে যশোর সারসা এলাকার মিন্টু আলী, হেলপার দেলোয়ার, তার মামা হামিদ ও টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকার জালাল সওদাগরের ছেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবাপাচারকারী হেলাল উদ্দিনসহ ৪ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/১৭ জুলাই ২০১৭/এনায়েত করিম