সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান লিটু নামের এক যুবক। মারা যাওয়ার পর লিটুর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। নিহত লিটু কী আসলেই ছাত্রলীগ কর্মী না ব্যবসায়ী? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মনে।
তবে এমন প্রশ্নের জন্মও দিয়েছেন ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। গত সোমবার দুপুরে ঘটনার সময় সিলেটে অবস্থান করছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। ঘটনার পর ফেঞ্চুগঞ্জে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাকির। এ সময় তিনি লিটুকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের শাস্তিরও দাবি জানান।
কিন্তু সোমবার সন্ধ্যার পর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন নিহত লিটু ছাত্রলীগের কেউ নয়। সে মোবাইল ব্যবসায়ী। ছাত্রলীগের সাথে লিটুর সম্পৃক্ততার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছেন।
একই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের এমন বিপরীতমুখী বক্তব্যে সবার কাছে আলোচনায় উঠে এসেছে বিষয়টি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন- কে সত্য? কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাকির নাকি সামাদ-রায়হান?
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নির্মমভাবে নিহত হন উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী। ঘটনার পর লিটুর বাবা খলিল উদ্দিন বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া পৃথক অভিযান চালিয়ে একটি রিভলবার ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার