বগুড়ার নন্দীগ্রামে খালাতো ভাইয়ের গুলিতে সাদ্দাম হোসেন নিহতের ঘটনায় থানা পুলিশ ডোবা থেকে ৪ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করেছে। সাদ্দাম হত্যা মামলায় আটক রফিকুল ইসলামের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ নন্দীগ্রাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুব হোসেন কাজলসহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তরা কবিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ডোবা থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ জানায়, গত ৯ জুলাই সকালে রিপন আহমেদ তার খালাতো ভাই সাদ্দাম হোসেনের ঘরে বসেছিল। বেলা ১২ টার দিকে রিপন ও তার খালাতো ভাই সাদ্দামের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হয় সাদ্দাম হোসেন। হত্যার ঘটনায় ১০ জুলাই সাদ্দামের পিতা শাহজামাল সরদার মন্টু বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে রিপনের বন্ধু খন্দকার বরবড়িয়া গ্রামের কারিমুল, সবুজ, আরিফ, নাজমুল ও মোশাররফকে আটক করে। এরপর রিপনের খালু উপজেলার চৌদিঘী গ্রামের সদের প্রামানিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২) কে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নন্দীগ্রাম উপজেলার কবিপাড়া নামক ডোবা থেকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। পুলিশ বলছে, সাদ্দাম হোসেন ও রিপন আহমেদের মামা আকতার হোসেনের মেয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রী আশা খাতুন (১৬) কে সাদ্দাম এবং রিপন ২ জনই ভালবাসতেন। এই ভালবাসার জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, সিংড়া উপজেলার খন্দকার বড়বড়িয়া গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে রিপন আহমেদ এবং তার ভাই বেনজির আহমেদ ও শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম। পিস্তলটি হত্যাকান্ডে ব্যবহার হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছে, পিস্তল এবং চার রাউন্ড গুলি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার