বাগেরহাটের রামপালে খাদিজা বেগম (২৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার প্রাক্তন স্বামী। আজ রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের পেড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে পুলিশ নিহতের প্রাক্তন স্বামী শেখ জাকির হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত খাদিজা বেগম রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের গোলাম আলী শেখের মেয়ে।
পরিবারের বরাত দিয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, বৃহষ্পতিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে ঝনঝনিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে খাদিজা বেগম তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে থাকা আট বছর বয়সী ছেলে শেখ জোবায়ের হোসেনকে দেখতে পেড়িখালি গ্রামে যান। তিনি পেড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত ছেলে জোবায়েরের সাথে দেখা করে তাকে একটি ছাতি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তার প্রাক্তন স্বামী খাদিজার উপস্থিতি জানতে পেরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। খাদিজা স্কুল ছেড়ে সামনে পৌঁছলে তার প্রাক্তন স্বামী হঠাৎ দৌড়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। খাদিজা জীবন বাঁচাতে পাশের পুকুরে ঝাপ দেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রামপাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জাকিরকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় দশ বছর আগে রামপাল উপজেলার পেড়িখালি গ্রামের হানিফ শেখের ছেলের সাথে একই উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের গোলাম আলীর মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির জোবায়ের হোসেন নামে একটি সন্তান হয়। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর ছেলে জোবায়ের হোসেন তার বাবার কাছে থাকত। মাঝে মধ্যে ওই ছেলেকে দেখতে খাদিজা লুকিয়ে পেড়িখালি গ্রামে যেতেন।
রামপাল উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মারজিউর রাব্বিজানান, বৃহষ্পতিবার দুপুরে খাদিজা বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। খাদিজার মাথায়, মুখে ও গলায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পথেই খাদিজার মৃত্যু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার