ঈদকে সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে অজ্ঞান পার্টি। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাস মোড় থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জন যাত্রীকে। তাদেরকে স্থানীয় আমেনা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদেরকে ভুট্টার খৈ (পপ কর্ণ)-এর সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে নগদ প্রায় ১ লাখ টাকা, ৭টি মোবাইল ফোন সেটসহ সাথে থাকা সকল মালামাল লুট করে নিয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাজশাহীর তানোর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (৩৫) অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলার বনপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার কাছ থেকে নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও দামী দুইটি মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায়।
বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে ১০ জন পুরুষ যাত্রী একটি অজ্ঞাত ট্রাকে উঠেন। পথিমধ্যে কোনো এক সময় সাথে থাকা যাত্রীবেশী অজ্ঞান পার্টির ৩ সদস্য তাদেরকে ফেরিওয়ালা থেকে কিনে ভুট্টার খৈ (পপ কর্ণ) খাওয়ায়। এরপর সাতজন অচেতন হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে অচেতন একজনকে পথিমধ্যে কোনো এক স্থানে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং বাকি ৬ জনকে বনপাড়া বাইপাস মোড়ে নামিয়ে দিয়ে ট্রাকটি কুষ্টিয়া অভিমুখে চলে যায়।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তাদের জ্ঞান ফিরে আসলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়।
এসময় তারা নিজেদের পরিচয় জানান। তারা হচ্ছেন, নওগাঁর নিয়ামতপুর চকমনসুর গ্রামের সাদিকুল ইসলাম (৩০), রাজশাহীর বাঘমারার গোয়ালকান্দি গ্রামের হালীম সেখ (৪২), চাপাইনবাবগঞ্জের মিরটুলী দেবীনগরের তৌহিদুল ইসলাম (২৩), নাটোরের নলডাঙ্গা পীরগাছা গ্রামের জহির আলী (৩৬), সিংড়ার আশরাফুল হক হৃদয় (২০) ও নাটোর সদরের সিংগারদহ মোস্তানপুরের শহিদ সেখ (২৮)।
তারা ঢাকায় রিকশাচালক, রাজমিস্ত্রী, ব্যবসায়ী পেশায় নিয়োজিত। পরিবারের সাথে ঈদ পালন করার জন্য তারা বাড়ি ফিরছিলেন।
আমেনা হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমানউল্লাহ জানান, এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে তাদের ২৪ ঘণ্টারও বেশী সময় লাগতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/২৪ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম